Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০

মাননীয় চেয়ারম্যানের ভাষণ - মানবাধিকার দিবস ২০১৯

মানবাধিকার দিবস ২০১৯
ভাষণ
নাছমিা বগেম, এনডসিি
মাননীয় চয়োরম্যান, জাতীয় মানবাধকিার কমশিন
প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ, ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪২৬, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

 

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

মাননীয় প্রধান অতিথি, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শেখ হাসিনা, এমপি,

সম্মানিত বিশেষ অতিথি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব আনিসুল হক, এমপি

Distinguished Special Guest United Nations Resident Coordinator Ms. Mia Seppo,

কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য . কামাল উদ্দিন আহমেদ,

মাননীয় মন্ত্রীবর্গ এবং উপদেষ্টাবৃন্দ, Distinguished Diplomats, সরকারি/ বেসরকারি দপ্তর সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ কমিশনের সম্মানিত সদস্যবৃন্দ,

 

আমন্ত্রিত সম্মানিত অতিথিবৃন্দ,

 

আসসালামুআলাইকুম, আদাব and Very Good Morning.

বিজয়ের মাস ডিসেম্বর আমাদের গৌরবের মাস। আমি বক্তব্যের শুরুতেই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ যে সকল মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি আমাদের স্বাধীনতা তাদের সকলের প্রতি আমার বিনম্র শ্রদ্ধা।

 

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সম্মানিত সুধী,

 

আমরা জানি  মানবাধিকার দেশের সীমারেখা দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়। এ অধিকার মানুষের জন্মগত যা কেউ কেড়ে নিতে পারে না। মানবাধিকার সুরক্ষা ও উন্নয়নে ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ কর্তৃক মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হয়। সে থেকে প্রতিবছর ১০ ডিসেম্বর মানবাধিকার দিবস পালিত হয়। এদিবস প্রতিটি মানুষের মর্যাদার সাথে বেঁচে থাকার জন্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আনন্দের। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে আমি সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।


সম্মানিত উপস্থিতি,

 

আমাদের জাতির পিতা তাঁর তারুণ্য থেকেই মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই আমাদের সংবিধানে সকল নাগরিকের জন্য আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য, স্বাধীনতা ও সুবিচার নিশ্চিত করনের অঙ্গীকার রয়েছে যা সার্বজনীন মানবাধিকারের ঘোষণাপত্রের সঙ্গে পুরোপুরি সঙ্গতিপূর্ণ।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

 

মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অভিযাত্রা”- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে কমিশন থেকে আয়োজিত এবারের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে আপনি উপস্থিত থাকায় দিবস পালনে নতুন উদ্যোমের সঞ্চার হয়েছে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত মানবাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উপজেলা জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে বর্ণাঢ্য র‍্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মকে দিবসের নানা আয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করে মানবাধিকারের সংস্কৃতির চর্চাকে বেগবান করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সম্মানিত সুধী,

 

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মূল দর্শনকে ধারণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এগিয়ে যাচ্ছে। এ লক্ষ্যে নব গঠিত কমিশন বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কমিশনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার জন্য ই- ফাইলিং চালু করার লক্ষ্যে কমিশনের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। দ্রুত ও সহজে অভিযোগ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে অনলাইন অভিযোগ ব্যবস্থাপনা কার্যকর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কমিশনের কার্যক্রমকে আরও গতিশীল এবং স্বাধীন এ প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে স্বকীয়তা আনয়নের জন্য কমিশনের একটি নিজস্ব ভবন থাকা অত্যন্ত জরুরি বলে মনে করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে আপনার সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। 


সম্মানিত অতিথিবৃন্দ,

 

আপনারা জানেন ইতোমধ্যে মানবাধিকার সুরক্ষায় বাংলাদেশের গৃহীত বেশ কিছু কার্যক্রম আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত হয়েছে। বিশেষ করে মিয়ানমারে নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি সংকট মোকাবেলায় দূরদর্শী নেতৃত্ব ও মানবিকতার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মানবতার জননী খেতাবে ভূষিত করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে আইপিএস ইন্টারন্যাশনাল এচিভমেন্ট এওয়ার্ড ও স্পেশাল ডিসটিংশন এওয়ার্ড ফর লিডারশিপ।


মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,

 

আপনার যুগোপযোগী অসাধারণ নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে রোল মডেল। একইভাবে রাষ্ট্র পরিচালনায় আপনার মানবিক গুণাবলিরও প্রতিফলন ঘটছে। আমরা আশা করি আপনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ একদিন উন্নত সমৃদ্ধ মানবিক রাষ্ট্র হিসেবেও বিশ্বের বুকে রোল মডেল হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।


পরিশেষে আমি এ আয়োজনে যারা সহায়তা করেছেন বিশেষ করে কমিশনের সহকর্মীসহ SDC, SIDA এবং UNDP কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। জাতি, ধর্ম-বর্ণ, নারী- পুরুষ নির্বিশেষে প্রত্যেকে প্রত্যেকের অধিকার সম্পর্কে সচেতন এবং শ্রদ্ধাশীল থাকব। মানবাধিকার সুরক্ষায় তারুণ্যের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ, মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলব; মানবাধিকার দিবসে এই হোক আমাদের সম্মিলিত অঙ্গীকার। 

আল্লাহ হাফেজ,