আজ ১২/১১/২০২৩ তারিখ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সভাকক্ষে যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনের খসড়া প্রণয়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য জনাব মোঃ সেলিম রেজা। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সম্মানিত সদস্য ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, আইন ও বিচার বিভাগের উপসচিব জনাব মাকসুদা পারভীন এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যেমন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, ডিসএবলড চাইল্ড ফাউন্ডেশন, জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সম্মানিত সদস্য ড. তানিয়া হক।
সভায় কমিশনের পক্ষ থেকে আইনটির খসড়া সংক্রান্ত একটি উপস্থাপনা পেশ করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে সম্মানিত অতিথিবৃন্দ মতামত প্রদান করেন। সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য একটি শক্তিশালী, সমৃদ্ধ ও সুপ্রতিষ্ঠিত আইনের খসড়া প্রস্তুত করা। আমরা আশা করছি আইনটির খসড়া দ্রুতই প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। আমাদের হাতে যে সময় রয়েছে সে সময়ে পর্যাপ্ত আলোচনা-সমালোচনা, প্রাসঙ্গিক পর্যালোচনার মাধ্যমে একটি শক্তিশালী আইনের খসড়া প্রণয়ন হতে হবে। প্রাপ্ত বিভিন্ন খসড়াগুলোতে বেশ কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের প্রণীত খসড়াকে সমন্বিত করে কমিশন নিজে একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। তিনি আরও বলেন, যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও সুরক্ষা আইনটি প্রণয়ন হলে হয়রানি প্রতিরোধে একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক গুরুত্ব সহকারে আইনটি প্রণয়ন প্রক্রিয়া অগ্রগতির চেষ্টা চলছে’।
আইন প্রণয়নের পাশাপাশি কমিশনের চেয়ারম্যান বিশেষভাবে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা ও প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান। সভায় কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য জনাব মোঃ সেলিম রেজা আইনের কারিগরি বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন। বাস্তবতার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আইনটির পরিসর নির্ধারণ এবং সর্বোচ্চ সুফল নিশ্চিতকরণে জোর দেন।
সভায় আগত অতিথিবৃন্দ আইনটি প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের আন্তরিক ভূমিকার জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।