আজ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয়ের সামনে যাত্রাবাড়ির ধলপুর থেকে উচ্ছেদের শিকার সিটি পল্লীর বাসিন্দারা তীব্র শীতে পরিবার পরিজন ও শিশুদের কষ্টে দিশেহারা হয়ে ক্রন্দনরত অবস্থায় তাদের পুনর্বাসনের দাবী নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের সাথে সাক্ষাৎ করেন। তারা জানান, ধলপুরস্থ সিটি পল্লীতে ১৯৯০ সালে ২৩০টি টিনশেড ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। উক্ত সিটি পল্লীর একটি ঘরের পরিবর্তে একটি ফ্লাট বরাদ্দের মৌখিক আশ্বাস দিয়ে ঢাকা সিটি করপোরেশন কর্তৃক গত ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তারিখ বিনা নোটিশে উচ্ছেদ করা হয়। বর্তমানে ০৯ মাস অতিবাহিত হলেও ভুক্তভোগীগণ কোনো প্রকারের আবাসন সুবিধা পাননি।
তাদের দাবী, প্রতিশ্রুত পুনর্বাসন নিশ্চিত না হওয়ায় বর্তমানে তীব্র শীতে প্রায় খোলা আকাশের নিচে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে। বর্তমানে তারা অনিরাপদ ও অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় বসবাস করছেন। এ অবস্থায় বরাদ্দকৃত টিনশেড ঘর ফিরে পেতে বা প্রতিশ্রুত পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে তাঁরা কমিশনের মানবিক ও আইনগত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এরই প্রেক্ষিতে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ মনোযোগ দিয়ে তাদের দুর্দশার কথা শোনেন এবং আন্তরিকভাবে সাধ্যমত সকল ধরনের সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন। বস্তুতপক্ষে সরকারের বিশেষ সুবিধায় বরাদ্দপ্রাপ্ত বাসা হতে কোন ব্যক্তিকে উচ্ছেদ করার পূর্বে অবশ্যই তার বসবাসের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা করা সমীচীন। পুনর্বাসন ছাড়া কাউকে উচ্ছেদ না করার বিষয়ে মহামান্য হাইকোর্টের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তাদের বসবাসের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা না করে কেন উচ্ছেদ করা হলো তা কমিশনের নিকট বোধগম্য নয়। এ অবস্থায় উচ্ছেদকৃত মানুষদের পুনর্বাসনের জন্য কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা কমিশনকে জানানোর জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে ইতিমধ্যে বলা হলেও এখনও এ বিষয়ে জানাতে সক্ষম হননি, ফলে, তীব্র শীতে এ সকল মানুষকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে, যা অমানবিক এবং কমিশন পুনরায় সিটি কর্পোরেশন এবং আবাসন সুবিধা প্রদানকারী অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে অতি দ্রুত এদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আহবান জানান।’