আজ ২৭-০২-২০২৪ তারিখ মঙ্গলবার মৌলভীবাজার জেলায় মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও মানবাধিকার সচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উক্ত জেলা সফর করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপপরিচালক মোহাম্মদ গাজী সালাহউদ্দিন।
দিনব্যাপী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দুপুর ১২ টায় মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধ ও সুরক্ষা কমিটির মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের মাননীয় সার্বক্ষণিক সদস্য জনাব মো: সেলিম রেজা ও প্রতিনিধি দলের সদস্যবৃন্দ, জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিভিল সার্জন, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, শিক্ষক, মানবাধিকার কর্মীগণ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ। সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক।
সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, " মানবাধিকার একটি বিস্তৃত ধারণা আর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্ব মানবাধিকার বিষয়ে মানুষকে সচেতন করা। মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে সেখানে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে কমিশন"। তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অনিয়ম হচ্ছে ও অব্যবস্থাপনার ঘটনা ঘটছে। সম্প্রতি খৎনা করতে গিয়ে শিশুর মৃত্যু, বরগুনায় প্রসূতিকে নবজাতকসহ সেলাই করে দেওয়া, ডায়ালাইসিসের ক্ষেত্রে দাম বাড়ানোসহ নানান ঘটনাকে নিষ্ঠুরতার সাথে তুলনা করে বলেন, চিকিৎসাক্ষেত্রে যদি গাফিলতির ঘটনা ঘটে তাহলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"।
তিনি তার বক্তব্যে নারীর ক্ষমতায়ন, গৃহকর্মীদের সুরক্ষা, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার রক্ষা এবং কিশোর গ্যাং থেকে শিশু-কিশোরদের সুরক্ষা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, নদী-খাল এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতাসহ মানবাধিকার লঙ্ঘন বিষয়ে গৃহীত নানা পদক্ষেপ বিষয়ে আলোচনা করেন।
কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, "জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি স্বাধীন রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এবং এর কার্যক্রম ব্যাপকভাবে বিস্তৃত। তিনি বলেন মানবাধিকারের বিষয়টি চর্চার বিষয় এবং একটি শিশু বয়স থেকেই পরিবার থেকে চর্চা করতে হবে"। তিনি আরও বলেন, " মানুষের অধিকার নিশ্চিতের জন্যই কমিশন জেলায় জেলায় পরিদর্শন করে। যদি কোনো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে তাহলে কমিশন অসহায়দেরকে বিনা খরচে আইনি সহায়তা ও মামলা পরিচালনার কাজে সহায়তা করে"। তিনি তার আলোচনায় সরকারি কর্মকর্তাদেরকে জনসেবামূলক কাজ করা এবং তাদের দ্বারা যেন সাধারণ মানুষের অধিকার লঙ্ঘিত না হয় সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।
মতবিনিময় সভা শেষে বিকেল ৪ টায় কমিশনের প্রতিনিধিদল ঝিমাই পুঞ্জির খাসিয়াদের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন।