Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার খাসিয়াপুঞ্জিতে চা বাগান মালিক কর্তৃক খাসিয়াদের জীবন-জীবিকার স্থানিক বাস্তবতা পরিদর্শনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন


প্রকাশন তারিখ : 2024-02-28

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার খাসিয়াপুঞ্জিতে চা বাগান মালিক কর্তৃক খাসিয়াদের জীবন-জীবিকার অবলম্বন পানগাছ কেটে ফেলা ও উচ্ছেদের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান ও সার্বক্ষণিক সদস্যসহ প্রতিনিধিদল। প্রাপ্ত সংবাদ অনুযায়ী, ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে মৌলভীবাজারের বড়লেখার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের ছোটলেখা চা বাগানে খাসিয়াদের আগারপুঞ্জিতে ২০০ পান গাছ কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে একই চা বাগানের নালিখাইপুঞ্জিতে তাদের জুম এবং বসতঘর পুড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এরই প্রেক্ষিতে নিরাপত্তা নিশ্চিত ও জমি রক্ষায় কমিশন সোচ্চার ভূমিকা পালন করেছে।

পরিদর্শনকালে প্রতিনিধিদল খাসিয়া জনগোষ্ঠীর জীবন-জীবিকা এবং ভূমি সংক্রান্ত সমস্যার খোঁজখবর নেন এবং একটি উন্মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ, চাবাগান মালিক ও স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান খাসিয়াদের জীবন-জীবিকা অধিকার সম্পর্কে বলেন, "জাতীয় মানবাধিকার কমিশন খাসিয়াদের সমস্যাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে আসছে এবং স্থানিক বাস্তবতা জানার জন্যই খাসিয়া পুঞ্জি পরিদর্শনের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বক্তব্যে খাসিয়া জনগোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ জীবনযাপনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং খাসিয়াদের পরিবেশ, প্রতিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য যাতে সংরক্ষিত হয় সে বিষয়ে আলোচনা করেন। তাছাড়া খাসিয়াদের ভূমি সংক্রান্ত  সমস্যাগুলো দ্রুত সমাধান করে উভয়পক্ষের মধ্যে একটি শান্তিপূর্ণ অবস্থা সৃষ্টির প্রচেষ্টা গ্রহণ করেন। তিনি সকল সমস্যা সমাধানে খাসিয়া জনগোষ্ঠীকে আশ্বস্ত করেন এবং কমিশনের পক্ষ থেকে আইনানুযায়ী সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আশ্বাস প্রদান করেন।
কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা তাঁর বক্তব্যে বলেন, "মানবাধিকার কমিশন থেকে এই পরিদর্শনের পর খাসিয়া জনগোষ্ঠীর সমস্যাগুলোকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করে তাঁদের মানবাধিকার রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করা হবে"।
কমিশনের প্রতিনিধিদলে পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপপরিচালক মোহাম্মদ গাজী সালাহউদ্দিন এবং সহকারী পরিচালক মো: তানবিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।