Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪

বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর ভাতা পেতে হয়রানিঃ কমিশনের পদক্ষেপে পরিত্রাণ


প্রকাশন তারিখ : 2024-01-17
 জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের হস্তক্ষেপে অনেক হয়রানির পর বকেয়া মুক্তিযোদ্ধা ভাতা পেয়েছেন এক নারী। অভিযোগকারী মিসেস নিলুফার ইয়াসমিন, স্বামী-মৃত: মেজর মো: আবুল কালাম আজাদ (অব:), নওগাঁ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ করেন যে, বিগত 2017-2018 ইং তারিখ থেকে 2019-2020 ইং তারিখ পর্যন্ত প্রতি মাসে তার স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা ভাতা 20,000/- (বিশ হাজার) টাকার স্থলে 2,000/- (দুই হাজার) টাকা প্রদান করা হয়েছে। এর পূর্বেও এই টাকা প্রদানে অনেক গড়মিল ছিল। এরপর তিনি নওগাঁ সমাজ কল্যাণ অফিসে যোগাযোগ করলে তারা তাকে সোনালী ব্যাংক নওগাঁ শাখায় যোগাযোগ করতে বললে ব্যাংক মন্ত্রণালয়ে টাকা ফেরত গেছে বলে অবহিত করে। এমতাবস্থায়, অভিযোগকারী একজন মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী হিসাবে বকেয়া ভাতাদি পাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কমিশনে আবেদন করেন।
 
এ বিষয়ে কমিশনে একটি প্রতিবেদন প্রেরণ করতে সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়-কে বলা হলে তাঁর কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে দেখা যায় উপজেলা পর্যায়ে Management Information System (MIS) এ তথ্য এন্ট্রি করার সময় সম্মানি ভাতা প্রাপ্যতার হার কলামে 100% এর স্থলে ভুলক্রমে 10% এন্ট্রি করা হয়। তবে তারা ‘‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানি ভাতা বিতরণ আদেশ, 2020’’ এর 9নং অনুচ্ছেদের উপ-অনুচ্ছেদ নং-5 অনুসারে কোন প্রাপ্য সম্মানী দিতে অস্বীকার করে বলে যে, কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা বা সুবিধাভোগী সংশ্লিষ্ট অর্থ বৎসর ব্যতীত পূর্ববর্তী অর্থ বৎসরের কোনো বকেয়া সম্মানি ভাতা দাবি করতে পারবেন না।
পরবর্তীতে এই প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এটি গ্রহণ না করে বলে যে, সরকারি কর্মচারির দায়িত্বে অবহেলার কারণে সৃষ্ট ভুলের খেসারত কোনভাবেই একজন ভাতাভোগীর দেয়া সমীচীন নয়। তাই যে বা যাদের দায়িত্ব অবহেলার কারণে ধারাবাহিক ভুলের সৃষ্টি হয়েছে তার/তাদের নিকট হতে অভিযোগকারীর প্রাপ্য বকেয়া সম্মানি ভাতা আদায় করে অভিযোগকারীকে প্রদান করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন 2009-এর বিধান অনুযায়ী সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়-কে বলা হয়। তখন তারা পরবর্তী প্রতিবেদনে জানায় যে, নিলুফার ইয়াসমিনের তেরো মাসের বকেয়া (2,34,000) দুই লক্ষ চৌত্রিশ হাজার টাকা প্রদান করার জন্য অর্থ বিভাগ কে তারা অনুরোধ করেছে । এ অবস্থায়, অর্থ বিভাগের সম্মতি/অনুমোদন প্রাপ্তি সাপেক্ষে উক্ত টাকা পরিশোধ করে কমিশনকে অবহিত করতে সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়-কে পুনরায় বলা হলে গত 08/01/2024 তারিখের প্রতিবেদনে তারা জানায় যে, অভিযোগকারীর জন্য বকেয়া (2,34,000) দুই লক্ষ চৌত্রিশ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে ।