পিংকি আক্তার (ঠিকানা-কৃষ্ণনগর (জিরোপয়েন্ট বাজার) রোড#6, লবনচরা, খুলনা) নামে একজন বাংলাদেশী গৃহকর্মী সৌদি আরবে গৃহকর্তা জনাব সাইফ বিন সাঈদ বিন সাইফ আল-সারি কর্তৃক অমানুষিক শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। তিনি দেশে অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে পিংকির নিয়োগকর্তা তার মোবাইল ফোনটিও কেড়ে নেয়। মেয়ের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পিংকির মা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিকট তার কন্যাকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য আবেদন করেন। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, কমিশনের বেঞ্চ-2 ভিকটিম পিংকিকে জরুরি ভিত্তিতে নিয়োগকর্তার নিকট হতে উদ্ধার করে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কনসাল জেনারেল, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দা, সৌদি আরব-কে গত 13/12/2023 তারিখ নির্দেশনা প্রদান করে। কমিশনের দৃঢ় হস্তক্ষেপ এবং জেদ্দার কনসাল জেনারেলের দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রেক্ষিতে গত 16/12/2023 তারিখ ভিকটিম পিংকী আক্তার দেশে পৌঁছায়।
ছবিঃ বাবা-মা ও কমিশনের খুলনা কার্যালয়ের কর্মকর্তার সাথে পিংকি আক্তার (মাঝে)
অদ্য ১৭/১২/২০২৩ তারিখ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের খুলনা জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তিনি কমিশনের নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন যে, “গত মে মাসে সৌদি আরব পৌঁছানোর পর প্রথম দশদিন গৃহকর্ত্রী আমার সাথে ভালো ব্যবহার করে। তারপর হতেই অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। এজেন্সির কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা আমাকে গালাগালি ও বাজে ব্যবহার করে এবং গৃহকর্ত্রীর নির্যাতন সহ্য করে কাজ করার পরামর্শ দেয়। দেশে ফিরে আসতে পারবো কি না সে আশা একেবারেই যখন ছেড়ে দিয়েছি ঠিক তখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের খুলনা কার্যালয়ে আমার বাবা-মা হাজির হয় এবং কমিশনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আমি জীবন নিয়ে দেশে ফিরে আসতে পেরে কমিশনের নিকট কৃতজ্ঞ। আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ততদিন আপনাদের সহযোগিতার কথা ভুলতে পারবো না। আর খুলনা ফিরে আসার পর আমার মা সারাদিন একটা কথাই বলছে যে, শুধুমাত্র জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জন্যই আমার বুকের মানিক আজ আমার বুকে ফিরে এসেছে তাই কমিশনের জন্য সবসময়ই দোয়া থাকবে।”