সভার শুরুতে কমিশনের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক স্বাগত বক্তব্য রাখেন। এরপর বর্তমান কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বক্তব্য দেন কমিশনের উপপরিচালক মোহাম্মদ গাজী সালাহউদ্দিন।
সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, "শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারী শিক্ষার্থীদের হয়রানির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এসব ঘটনার বিরুদ্ধে কমিশন সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে"। সভায় কমিশনের চেয়ারম্যান গৃহকর্মীদের সুরক্ষায় আলাদা আইন এবং মানবাধিকার রক্ষায় বৈষম্য নিরোধ আইনের ব্যাপারে অগ্রগতি সম্পর্কে তুলে ধরেন।
আলোচনার একপর্যায়ে তিনি বিভিন্ন প্রতারক মানবাধিকার সংস্থার কার্যক্রম সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেন। এছাড়াও, তিনি হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসার পরিবেশের ব্যাপারে অসন্তোষ জানিয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য উপস্থিত কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশনা দেন। তিনি হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দেখে মর্মাহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করেন।
কমিশনের চেয়ারম্যানের বক্তব্যে প্রবাসীদের দু:খ-দুর্দশা, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ, গৃহকর্মীদের সুরক্ষা, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকার রক্ষা এবং কিশোর গ্যাং থেকে শিশু কিশোরদের সুরক্ষা, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, পরিবেশ সচেতনতা ইত্যাদি নিয়ে তথ্যভিত্তিক বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।
কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য মো: সেলিম রেজা তার বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে বলেন," মানবাধিকার যাতে সুরক্ষিত হয় সেজন্যই জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কাজ করে যাচ্ছে"।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোছা: জিলুফা সুলতানা মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রতিরোধে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং জেলা মানবাধিকার লঙ্ঘন ও সুরক্ষা কমিটির কার্যক্রমকে গতিশীল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।