Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন

দায়িত্ব পালনের মেয়াদকাল (০৮ ডিসেম্বর ২০২২ - ০৭ নভেম্বর  ২০২৪)

ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ০৮  ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারকের পদমর্যাদাসহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এর চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। 

 

ইতিপূর্বে, তিনি ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ হতে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখ পর্যন্ত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকের পদমর্যাদাসহ জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এর সার্বক্ষণিক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। 

 

তিনি ফৌজদার হাট ক্যাডেট কলেজ, চট্টগ্রাম থেকে থেকে সাফল্যের সাথে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক সম্পন্ন করেন এবং ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। তিনি যুক্তরাজ্য থেকে বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর এবং নিউজিল্যান্ড থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

 

তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতো অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দুটি মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্বপালন করেছেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের একজন সদস্য ছিলেন। তিনি নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব বিজনেস এন্ড ইকোনোমিকস এর একজন অধ্যাপক ছিলেন।  বাংলাদেশ থেকে প্রথমবার দক্ষিণ কোরিয়ার গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড বোর্ডের একজন সদস্য হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানজনক পদ লাভ করে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং জিসিএফ সাপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে ৪৫ টি স্বল্পোন্নত দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন ড. কামাল। 

 

বাংলাদেশ যৌথ সীমান্ত ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিপক্ষ ভারতের সাথে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা করেন যা ঐতিহাসিক সীমান্ত চুক্তি বিষয়ক প্রটোকল (মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি) প্রস্তুতিতে সহায়ক ভুমিকা পালন করে এবং বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্ত সমস্যার নবযুগসৃষ্টিকারী শান্তিপূর্ণ সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখেন।  আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখার মাধ্যমে মানবাধিকার সুরক্ষা, আন্তর্জাতিক চুক্তির খসড়া প্রস্তুতি, বিভিন্ন বিষয়ে বিশেষত মানব পাচার, মাদক ও অর্থ পাচার প্রতিরোধ এবং সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন বিষয়ে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সফল আলোচনার ক্ষেত্রে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন।  

 

বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহের অনুরোধে তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে রিসোর্স পার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি), সিভিল সার্ভিস প্রশাসন একাডেমি, বাংলাদেশ একাডেমি ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট ( বার্ড ) এবং ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ (এনডিসি)।

তিনি একজন একনিষ্ঠ গবেষক এবং লেখক। ইতিমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে তার লেখা বিভিন্ন বই এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

তাঁর সহধর্মিণী মিসেস পারভীন আক্তার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে এমএসএস ডিগ্রী অর্জন করেন এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে উন্নয়ন প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। বর্তমানে তিনি মহাপরিচালক (গ্রেড -১) মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে কর্মরত। তাদের একমাত্র কন্যা নিউজিল্যান্ডের ম্যাসি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতায় অধ্যয়নরত।